![cover picture](/received_193105499597707.jpeg)
সাধারণ তথ্য
- গল্পের নাম: আশি দিনে বিশ্ব ভ্রমণ
- লেখক: জুল ভার্ন
- রুপান্তর: শামসুদ্দিন নওয়াব
- প্রথম প্রকাশ: ১৯৭৯ সাল
- প্রকাশনী: সেবা প্রকাশনী
- বিশেষ দ্রষ্টব্য: বইটি একাধিক প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত এবং ভিন্ন ভিন্ন লেখক দ্বারা অনূদিত ।
কাহিনী সারসংক্ষেপ:
গল্পের নায়ক ফিলিয়াস ফগ। সুদর্শন, বিত্তবান, দয়ালু এবং সময় সম্পর্কে অধিক সচেতন।সব কাজ মেপে বুঝে করেন। কথার খেলাপ করা তার স্বভাববিরুদ্ধ। একদিন কথাচ্ছলে স্থানীয় ক্লাবের বন্ধুদের ফগ বলেন আশি দিনে বিশ্ব ভ্রমণ করা সম্ভব। আঠারো শতকের কথা চিন্তা করলে আশি দিনে বিসভ্রমণ প্রায় অসম্ভব। তখন যোগাযোগের জন্য উড়োজাহাজ ছিলনা, জলপথের ভরসা ছিল পালতোলা জাহাজ আর গুটিকতক স্টিম ইঞ্জিন।পৃথিবীর সব স্থানে রেলপথ কল্পনা করাটাও ছিল সত্যিকার অর্থেই কল্পনা। তখন স্বভাবতই কেও ফিলিয়াস এর কথা বিশ্বাস করতে চান না। কিন্তু ফিলিয়াস তার প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসী স্বভাবের জের ধরে করে বসলেন আশি দিনে বিশ্ব ভ্রমনণের বাজি। ভৃত্য পাসোপার্তুকে নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন তার যাত্রায়।অদ্ভুত আর দারুণ রোমাঞ্চে ভরা সেই যাত্রা।
একদিকে যখন ফিলিয়াস তার বিশ্বযাত্রা নিয়ে ব্যস্ত, তখন আরেকদিকে ব্যাংক ডাকাত সন্দেহে ফিলিয়াসকে গ্রেফতার করার জন্য তার পিছে লাগে স্পাই মি. ফিক্স। নানাভাবে বাগে পওয়ার চেষ্টা করে ফিলিয়াসকে।এ ছাড়াও দেশ বিদেশ ভ্রমণে আরও অনেক বাঁধা বিপত্তির সম্মুখীন হন ফিলিয়াস। রানী আউদার জীবন বাঁচানো, পাসোপার্তুর বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া, ডাকাত দলের আক্রমন, ফিক্সের গোয়েন্দাগিরি ইত্যাদি নানান ঘটনা প্রভাব ফেলে ফিলিয়াস এর নিখুঁত হিসেবের।তবে ফিলিয়াস দমবার পাত্র নন।ঠিকই সামলে নেন সব পরিস্থিতি। এতকিছুর পরেও যখন তিনি পুরো পৃথিবী ঘুরে লন্ডনের ট্রেন স্টেশনে পৌঁছান, তখন খেয়াল করেন নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে পাঁচ মিনিট দেরি করে ফেলেছেন।
তাহলে ফিলিয়াস কি বাজিতে হেরে গেলেন? উঁহু, বাজি কিন্তু শেষমেশ ফিলিয়াসই জেতেন।
কিভাবে নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে পাঁচ মিনিট দেরি করেও ফিলিয়াস বাজিটি জিতে গেলেন ?!
কি ঘটেছিল তারপর? যা কিনা ফিলিয়াসের পরাজয় কেও জয় এ পরিনত করেছে? জানতে হলে পড়তে হবে এই অভিনব আর অবশ্যপাঠ্য বইটি।